সারা বিশ্বে ক্যাপসিকাম একটি জনপ্রিয় সবজি। আমাদের বাংলাদেশে তেমন পরিচিত না হলেও সম্প্রতি এর জনপ্রিয়তা ও পরিচিতি বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা চাইলেই বাড়ির ছাদে ক্যাপসিকাম চাষ করতে পারি। তাহলে শুরু করা যাক।
মাটি প্রস্তুকরণ
টবে ক্যাপসিকামের জন্য অর্ধেক দোয়াশ মাটি, অর্ধেক জৈব সার, আধা চামচ ইউরিয়া,আধা চামচ ফসফেট, আধা চামচ পটাশ এবং আধা চামচ ম্যাগনেশিয়াম সালফেট একসাথে মিশিয়ে নিন। এখন টবে আপনার পছন্দের ক্যাপসিকাম চারাটি লাগিয়ে দিয়ে টবে ভরপুর পানি দিয়ে দিন। দোয়াশ মাটি না হলে সমস্যা নাই ক্যাপসিকাম প্রায় সব মাটিতে হয়, তবে এটেল মাটি থাকলে – অর্ধেক এটেল মাটি অর্ধেক নদীর বালি দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন।
অন্যন্য পরিচর্যা
ক্যাপসিকাম গাছ রোদ পছন্দ করে তবে হালকা রোদেও ভাল হয়, তবে কোনভাবে ছয়াতে রাখা যাবে না। প্রতিদিন পানি দিতে হবে অর্থাৎ টবের মাটি একটু শুকিয়ে আসলে পানি দিতে হবে, প্রয়োজনে দিনে একাধিকবার দিতে হবে। যারা হালকা রোদে করবে তাদের মাটি শুকানোর আগে পানি দেওয়া ঠিক হবে না। এ গাছের সহ্যশক্তি কম হওয়ায় খরা বা জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না এবং আগাছা মুক্ত রাখতে হবে। ক্যাপসিকাম এর আকার বড় তাই হেলে পড়া রোধে খুঁটির ব্যবস্থা করতে হবে। চারা রোপনে ২০ দিন পর পর পর ১ চামচ ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে। গাছটি ৪-৫ ইঞ্চি হলে এর আগা কেটে দিলে গাছটি অনেক ঝোপড়া হবে এবং ফলনও বেশি হবে।
ক্যাপসিকাম এর রোগবালাই
ক্যাপসিকাম গাছে পোকামাকড়,ভাইরাসজনিত ও ছত্রাকজনিত রোগের আক্রমণ হয়ে থাকে। পোকার মধ্যে এফিড, থ্রিপস,লালমগড়, জাবপোকা ও মাইট আক্রমণ করে। ছত্রাকের মধ্যে উইল্কল্ট ও এনথ্রাকনোজ রোগে আক্রান্ত হয়। ভাইরাসের আক্রমনে পাতায় হলদে দাগ পড়ে এবং পাতা কুঁকড়ে যায়। এসব রোগ হলে গাছ দ্রুত ধংস করতে হবে। এ রোগ হলে তেমন কোন প্রতিষেধক পাওয়া যায় না। তবে ডাইমেথয়েট গাছ রোপনে ৩ দিন পর থেকে ১০ দিন পর পর ৩০ ফোটা ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে গাছের পাতায় স্প্রে করলে এসব রোগের আক্রমণ থেকে বাঁচা যায়।