.
হাইড্রোপনিক (Hydroponic) হলো মাটি ছাড়া পানিতে ফসল উৎপাদনের ( বিশেষ করে সবজি) চাষের আধুনিক পদ্ধতি। হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে মাটির পরিবর্তে পানিতে গাছের প্রয়াজনীয় খাবার সরবরাহ করে ফসল উৎপাদন করা যায়। উন্নত বিশ্বে মাটি ছাড়া বাণিজ্যিকভাবে সবজি চাষ বেশ জনপ্রিয়। মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে মরুভূমিতে মাটি ছাড়া সবজি চাষ করে শত শত কোটি টাকা আয় হচ্ছে। বাংলাদেশে আগে এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবজি চাষ হয়নি। তবে বর্তমানে প্রযুক্তির ছোঁয়া লাগায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে মাটি ছাড়া সবজি চাষ। বিশেষ করে ঢাকার দোহারে এ ধরনের একটি সবজি খামারের সাফল্য সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে মিজানুর রহমান। আধুনিক প্রযুত্তি কাজে লাগিয়ে হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে শুধু পানি ব্যবহার করে উৎপাদন করা হচ্ছে নানা ধরনের দেশি-বিদেশি ফল ও শাক-সবজি। এই পদ্ধতিতে সারাবছর সবজি ও ফল উৎপাদন সম্ভব। এ পদ্ধতিতে উৎপাদিত সবজি ও ফলে কোন কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। ফলে এসব সবজি পোকামাকড় বা কীটনাশকমুক্ত, স্বাস্থ্য ও মান সম্মত।
.
যেসব ফসল হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে উৎপাদন করা যায়ঃ
.
যেসব ফসল এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা যায় সেগুলো হলো- ১। পাতা জাতীয় সবজি- লেটুস, গিমা কলমি, বিলাতি ধনিয়া, বাঁধাকপি ইত্যাদি। ২। ফল জাতীয় সবজি- টমেটো, বেগুন, ক্যাপসিকাম, ব্রোকলি, ফুলকপি, শসা, খিরা, মেলন, স্কোয়াস ইত্যাদি। ৩। ফল জাতীয় – স্ট্রবেরী ( Strawberry) ৪। ফুল জাতীয়- এন্থরিয়াম, গাঁদা, গোলাপ, অর্কিড, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা ইত্যাদি।
.
হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদনের সবিধা:
.
মাটিবিহীন এ পদ্ধতিতে আবাদি জমির প্রয়োজন হয় না।
হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে প্লাস্টিকের তৈরি চারকোনা বাক্সে পানি ব্যবহার করে বাসার ছাদ, বাড়ির আঙ্গিনা, বারান্দা এবং খোলা জায়গায় ফসল উৎপাদন করা যায়।
এই পদ্ধতিটি মাটিবিহীন চাষ পদ্ধতি হওয়ায় মাটিবাহিত রোগ ও কৃমিজনিত রোগ হয় না।
নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে সারাবছর কিংবা অমৌসুমেও ফসল আবাদ করা যায়।
এ পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ফসল উৎপাদন করা হয় বিধায় কীটপতঙ্গের আক্রমণ কম হয়। ফলে এই পদ্ধতিতে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করা সম্ভব।
এই পদ্ধতিতে ছোট এবং বড় পরিসরে স্বাস্থ্যসম্মত এবং পরিচ্ছন্নভাবে ফসল উৎপাদন করা যায়।
এ পদ্ধতিতে লাভজনক, অর্থকরী এবং মানসম্পন্ন ফসল উৎপাদন করা যায়।
মাটিবিহীন ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে এটি একটি পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি।
এই পদ্ধতির অসুবিধাঃ
.
হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে দ্রবণ প্রস্তুতি, দ্রবণের অম্লত্ত ও ক্ষারত্ব, Electric Conductivity (EC), বিভিন্ন খাদ্যোপাদানের অভাবজনিত লক্ষণসমূহ সনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন।
এই পদ্ধতির চাষে কখনও নেটহাউজ বা গ্লাসহাউজের প্রয়োজন হয় বিধায় প্রাথমিক খরচ কিছুটা বেশি হয়।
এ পদ্ধতিতে নেটহাউজ বা গ্লাসহাউজের ভিতরের তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে ফলন কমে যেতে পারে।
হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে সব ধরণের ফসল চাষ করা যায় না।
এ পদ্ধতির চাষে কারিগরি জ্ঞান, দক্ষতা, ও অভিজ্ঞতা বিশেষ প্রয়োজন।
হাইড্রোপনিক ব্যবহার পদ্ধতিঃ
.
দুটি উপায়ে হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা যায়।
১। সঞ্চালন পদ্ধতি (Circulating System)
২। সঞ্চালন বিহীন পদ্ধতি (Non Circulating System)
.
১। সঞ্চালন পদ্ধতি (Circulating System):
এ পদ্ধতিতে গাছের অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য উপাদানসমূহ যথাযথ মাত্রায় মিশ্রিত করে একটি ট্যাংকিতে নেওয়া হয়। এরপর পাম্পের সাহায্যে পাইপের মাধ্যমে ট্রেতে পুষ্টি দ্রবণ (Nutrient Solution) সঞ্চালন করে ফসল উৎপাদন করা হয়। প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা পাম্পের সাহায্যে এই সঞ্চালন প্রক্রিয়া চালু রাখা দরকার। এই পদ্ধতিতে প্রাথমিকভাবে প্রথম বছর ট্রে, পাম্প এবং পাইপের আনুসাঙ্গিক খরচ একটু বেশি হলেও পরবর্তী বছর থেকে শুধু রাসায়নিক খাদ্য উপাদানের খরচ প্রয়োজন হয়। ফলে দ্বিতীয় বছর থেকে খরচ অনেকাংশে কমে যাবে।
.
সঞ্চালন পদ্ধতির কার্যবিধি:
.
এই পদ্ধতিতে গ্যালভানাইজিং লোহার তৈরি ট্রে টি একটি Stand এর উপর স্থাপন করে প্লাস্টিক পাইপের সাহায্যে একটি ট্যাংকের সাথে যুক্ত করা হয়। এই ট্যাংক থেকে পাম্পের সাহায্যে রাসায়নিত দ্রব্য মিশ্রিত জলীয় খাদ্য দ্রবণ ট্রেতে সঞ্চালন করা হয়। গ্যালভানাইজিং লোহার ট্রের উপর কর্ক সীটের মাঝে গাছের প্রয়োজনীয় দূরত্ব অনুসারে যেমন, লেটুস ২০ x ২০ সেমি, টমেটো ৫০ x ৪০ সেমি এবং স্ট্রবেরী ৩০ x ৩০ সেমি দূরত্বে গর্ত করতে হয়। উপযুক্ত বয়সের চারা স্পঞ্জ (Sponge) সহ ঐ গর্তে স্থাপন করতে হয়। চারা রোপনের পর ট্যাংক থেকে ট্রের মধ্যে জলীয় দ্রবণ পাম্পের সাহায্যে প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ ঘন্টা সঞ্চালিত করে গাছের অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করা হয়। ট্রেতে কমপক্ষে ৬-৮ সেমি পানি সব সময় রাখতে হবে। সাধারণত প্রতি ১২-১৫ দিন অন্তর জলীয় দ্রবণ ট্রেতে যোগ করতে হবে। এই পদ্ধতি সবজি উৎপাদনে pH এবং EC মাত্রা ফসলের চাহিদার মধ্যে রাখতে হয়।
.
সাধারণভাবে হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে উৎপাদনের জন্য pH ৫.৮-৬.৫ এর মধ্যে রাখতে হয়। যদি pH এর মাত্রা ৭.০ এর উপরে হয় তবে আয়রন, ম্যাংগানিজ মলিবডেনামসহ অন্যান্য মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের অভাব পরিলক্ষিত হয়। এ ক্ষেত্রে হাইড্রোক্লোরাইড এসিড (HCL) অথবা ফসফরিক এসিড (HPO4) বা নাইট্রিক এসিড (HNO3) দিয়ে pH কে কাঙ্খিত মাত্রায় রাখতে হবে। আবার pH যদি ৫.৮ এর বেশি নিচে নেমে যায় তখন NaOH অথবা KOH দিয়ে pH নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। EC এর মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে জলীয় দ্রবণে খাদ্য উপাদানের উপস্থিতির মাত্রা সাধারণত EC ১.৫-২.৫ ds/m এর মধ্যে রাখতে হবে। EC এর মাত্রা যদি ২.৫ ds/m উপরে চলে যায় সে ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ পানি যোগ করতে হবে। প্রতিদিন সকাল ও বিকালে pH এবং EC সমন্বয় করতে হবে।
.
২। সঞ্চালনবিহীন পদ্ধতি (Non-Circulating System):
এই পদ্ধতিতে একটি ট্রেতে গাছের প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানসমূহ পরিমিত মাত্রায় সরবরাহ করে সরাসরি ফসল উৎপাদন করা হয়। এই পদ্ধতিতে খাদ্য উপাদান সরবরাহের জন্য কোন পাম্প বা পানি সঞ্চালনের প্রয়োজন হয় না। এক্ষেত্রে খাদ্য উপাদান মিশ্রিত দ্রবণ ও উহার উপর স্থাপিত কর্কশীটের মাঝে ৫-৭ সেমি পরিমাণ জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে এবং কর্কশীটের উপরে ৪-৫ টি ছোট ছোট ছিদ্র করে দিতে হবে যাতে সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারে এবং গাছ তার প্রয়োজনীয় অক্সিজেন কর্কশীটের ফাঁকা জায়গা থেকে সংগ্রহ করতে পারবে। ফসলের প্রকারভেদে সাধারণত ২-৩ বার এই খাদ্য উপাদান ট্রেতে যোগ করতে হয়। এই পদ্ধতিতে কোন বৈদ্যুতিক মটর, পাম্প বা পাইপ ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। এই পদ্ধতি অনুসরণ আগ্রহী কৃষকগণ সহজেই প্লাস্টিক বালতি, পানির বোতল, মাটির পাতিল, ইত্যাদি ব্যবহার করে বাড়ির ছাদ, বারান্দা এবং খোলা জায়গায় সঞ্চালনবিহীন পদ্ধতিতে সবজি উৎপাদন করতে পারে। এতে খরচ তুলনামূলকভাবে কম হবে।
.
রাসায়নিক দ্রবের পরিমাণ ও মিশ্রণ প্রক্রিয়াঃ জলীয় খাদ্য দ্রবণ তৈরিতে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দ্রবের পরিমাণ ও প্রস্তুত প্রণালী পদ্ধতি নিচে বর্ণনা করা হলো-
.
পানিতে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দ্রব্য সমূহের পরিমাণ (প্রতি ১০০ লিটার পানির জন্য)
.
ক্রমিক নং রাসায়নিক উপাদান পরিমাণ
১ পটাশিয়াম হাইড্রোজেন ফসফেট (KH2PO4) ২৭.০
২ পটাশিয়াম নাইট্রেট (KNO3) ৫৮.০
৩ ক্যালসিয়াম নাইট্রেট Ca(NO3)2.4H2O ১০০.০
৪ ম্যাগনেসিয়াম সালফেট (MgSO4.7H2O) ৫১.০
৫ ইডিটিএ আয়রন (EDTA Iron) ৮.০
৬ ম্যাঙ্গানিজ সালফেট (MnSO4.4H2O) ০.৬১
৭ বরিক এসিড (H3BO3) ০.১৮
৮ কপার সালফেট (CuSO4.5H2O) ০.০৪
৯ অ্যামোনিয়াম মলিবটেড (NH4)6MO7O24.4H2O ০.০৩৮
১০ জিঙ্ক সালফেট (ZnSO4.7H2O) ০.০৪৪
মিশ্রণ প্রক্রিয়ায় জলীয় খাদ্য দ্রবণ তৈরির সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রথমে Stock Solution তৈরি করতে হবে। এই Stock তৈরি করার সময় ক্যালসিয়াম নাইট্রেট এবং EDTA Iron কে পরিমাপ করে ১ লিটার পানিতে দ্রবীভূত করে দ্রবণকে Stock Solution “A” নামে নামকরন করতে হবে। অবশিষ্ট রাসায়নিক দ্রব্য গুলোকে পরিমাপ মত এক সাথে ১ লিটার পানিতে দ্রবীভূত করে Stock Solution “B” নামে নামকরণ করতে হবে। ১০০ লিটার জলীয় দ্রবণ তৈরির ক্ষেত্রে প্রথমে ১০০ লিটার পানি ট্যাঙ্কে নিতে হবে। তারপর Stock Solution “A” থেকে ১ লিটার দ্রবণ ট্যাংক এর পানিতে ঢালতে হবে, এবং একটি অধাতব দণ্ডের সাহায্যে নাড়া চাড়া করে ভালো ভাবে মিশাতে হবে। এরপর Stock Solution “B” থেকে পূর্বের মত ১ লিটার ট্যাঙ্কে নিতে হবে এবং পূর্বের ন্যায় অধাতব দণ্ডের সাহায্যে পানিতেStock Solution গুলো সমানভাবে মিশাতে হবে।
.
বিভিন্ন ফসলের চারার বয়স ও PH মানঃ
.
হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন ফসলের চারা রোপণের বয়স ও PH মাত্রা বিভিন্ন হয়ে থাকে। নিচে তা উল্লেখ করা হলো-
.
ফসলের নাম উপযুক্ত চারার বয়স PH মান
টমেটো ৩-৪ সপ্তাহ (২-৩ পাতা অবস্থায়) ৫.৫-৬.৫
লেটুঁস ২-৩ সপ্তাহ ৬.০-৬.৫
ক্যাপসিকাম /মরিচ ৪-৫ সপ্তাহ ৬.০-৬.৫
স্ট্রবেরী ২-৩ সপ্তাহ (স্টোলন কাটিং) ৫.৫-৬.৫
শসা/খিরা ২-৩ সপ্তাহ ৫.৮-৬.০
বাঁধাকপি/ফুলকপি ৪-৫ সপ্তাহ ৬.৫-৭.৫
যদি PH এর মাত্রা কাঙ্ক্ষিত মাত্রার চেয়ে বেশি হয় তবে হাইড্রোক্লোরিক এসিড বা নাইট্রিক এসিড যোগ করে PH কমাতে হবে। আবার যদি দ্রবনের PH এর মাত্রা কমে যায় তবে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড বা পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড যোগ করতে হবে।
.
হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে সতর্কতাঃ সাফল্ভাবে হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদনের জন্য নিম্নের বিষয়গুলির উপর বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে। বিষয়গুলি হলো-
.
সাধারণত PH এর মাত্রা ৫.৮-৬.৫ এবং EC এর মাত্রা ১.৫-২.৫ ds/m এর মধ্যে রাখতে হবে। উল্লেখিত মাত্রার বাইরে চলে গেলে গাছের শিকড় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আকস্মিকভাবে জলীয় খাদ্য দ্রবণের PH এবং EC পরিবর্তন করা যাবে না।
গাছের খাদ্য উপাদানের প্রয়োজনীয়তা, স্বল্পতা, কিংবা আধিক্য গাছের স্বাস্থ্য ও পাতার রং দেখে বুঝা যায়। খাদ্য উপাদানের লক্ষন দেখে বুঝা এবং প্রয়োজন অনুসারে তা যোগ করে অভাব দূর করতে হবে। এ জন্য প্রতিটি উপাদানের অভাব জনিত লক্ষন সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকতে হবে।
দ্রবণের আদর্শ তাপমাত্রা রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। সাধারণত দ্রবণের তাপমাত্রা ২৫-৩০C এর মধ্যে হওয়া দরকার। যদি দ্রবণের তাপমাত্রা বেড়ে যায় তবে শ্বসনের হার এবং অক্সিজেন এর চাহিদাও দারুনভাবে বাড়ে। ফলে দ্রবণের অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাবে। সাধারণত দুপুরে তাপমাত্রা বেড়ে যায় কাজেই এ সময় তাপমাত্রা কমানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
জলীয় খাদ্য দ্রবণে অতিরিক্ত অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ অক্সিজেনের অভাবে গাছের শিকড় নষ্ট হয়ে যায় ফলে ফলন মারাত্মকভাবে কমে যায়।
চাষের স্থানে পর্যাপ্ত আলোর সুব্যবস্থা করতে হবে এবং রোগমুক্ত চারা ব্যবহার করতে হবে। কোন রোগাক্রান্ত গাছ দেখা গেলে সাথে সাথে তা তুলে ফেলতে হবে।
চাষকৃত ফসলে বিভিন্ন পোকা-মাকড়ের আক্রমণ দেখা দিতে পারে। এদের মধ্যে এফিড, লিফ মাইনার, থ্রিপস এবং মাকড় অন্যতম। নিয়মিত লক্ষ রাখার মাধ্যমে উক্ত বালাই দমনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
.
আপনাদের বাগান সম্বলিত যেকোন সমস্যার সমাধান ও জিজ্ঞাসার জন্য কমেন্টে আপনার গাছের ছবিসহ আপনাদের সমস্যাগুলো উল্লেখ করুন, আমি পেজে পরবর্তীতে পোষ্ট আকারে সমাধানগুলো দিয়ে দিবো। ধন্যবাদ
বিঃদ্রঃ- গাছ সম্পৃক্ত তথ্য গুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা হয় বাগানীদের উ